পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার যাপনের দিনলিপি- দুই।।ক্যাচলার নাম ছাগল পাঘা

ছবি
ক্যাচলার নাম ছাগল পাঘা অমিত মাহাত  কনদিগের লে ঘরকে আলি। মালুম নাই। দমতক ভোখ পাইয়েছিল। আস্যেই সিনান নাহান তোর চুলহায় পুড়ুক,আদকাবরা পা রাখে  নেগা হাতে সাবান নিয়ে যা ডাহিনা হাতটাই  জলটা নিয়েছি। পাড়ায় হুরি উঠল। দু গাবল মুখে পুরেছি। তিন গাবলকে ফুরাবেক। ফৈটকা দিল হাঁকায় - এ বঅ লেখইয়া কাকা! চাঁড়ে আসো, আয়।  আমি শুধালি - ক্যানে রে? কি হইল! -মাঝকুলহিএ বেপক সিন চৈলছে বঅ । লিখবে তো চল্যে আসঅ!  -থাম রে, আর এক গাবল!  ফৈটকা দৌড় মারল। আর আমিও রঁদ বাদাড় ডেঁইঘে মাইনকা'র বাঁশ ঝাড়ে যাঁইয়ে রোগা রুঠুইনা ভুলির সাথে যাকে বলে বজড়। সেইরকম।হামদের পাড়ার লে নামোপাড়া মাঝকুলহি কমটা লয়।  যাচ্ছি, কলমের কাজ করি তো। যা'ই ঘটুক। এক কলম লেখার মসলা হবেই হবে। তাই আর কি, সঁকড়ি হাতে ঘামাঘামি দুশো মিটার দউড়।  কি কান্ড!  ই যে হামার পুটি ঝিএর গলা। দরমুখা বাখানে মুইক্তার শাউড়ির কামান খাবেক নকি রে!  -বলি হেঁ লো, আঁটকুড়ি! আজও তোর রোগনা ছাগলটা ছাড়্যে দিয়েঁছিস? তর ভাতার এতই নিকম্মা!  একটা বরহই অ নাই আর সুতলি অ নাই। নাই তো নাই। একটা পুঁয়াল দড়িও জুটল নাই ! -আজই পুচকিছে দিদি ।বাঁধায় ত ছিল এদ্দিন।  -বাঁধা থাকলে আমার বাঁধনামোর পাকব

সওদাগরের গল্প

ছবি
রাত তেমন হয়নি। কাল-সাঁঝি। মা বসেছে পাতখালিতে। শালপাতা সেলাইএর আওয়াজ উঠছে। ফটস ফটস। বইপত্তর মেলে চুপচাপ বসে আছি দেখে মা চিল্লায় - কই রে? - থামথুম কেনে?  আমি আরও চুপ মেরে যাই। কোনও কিছুই ভাল লাগছে না আজ।  -আমারও কি ভাল লাগে এইসব কাম! লিতই বন যাও। পাতখালি কর। হাড়মাস জল কর।  - তবে যাইস কেনে?  -তুই পড়বি হত্যেই... মা এক খামচে পাতচাকিটা নিজের কোলের কাছে টেনে নিল। হাতে নিমকাঠি তুলে নিয়ে আমার মুখের দিকে তাকায়। আমি ভয় পেয়ে যাই। ভীষণ।  -ঠিক আছে। আজ তবে জিরান দে। আমারও খারাপ যাচ্ছে শরীরটা।  মা উঠে গেল। ভাতের হাঁড়ির উসুরপুসুর শব্দ। সকালের ডুভাখান জলঢালা ভাত সাথে এককামড় ঝাঁজি পিঁয়াজ। কী সুয়াদ। মায়ের ভাগে মাড়ের বাটি। এবং নুন মেশানো জল। এইসময় যদি মায়ের কাজটা থাকত, ধানসিদ্ধ কিংবা চালপাছড়ানোর সে কাজ দিত বাটি ভরতি গরমাগরম ভাত। সাঁঝবেলা। আহা। পা ছড়িয়ে কি আয়েস করেই না সাবাড়ে খেতাম সব।  মা ফিরে গেল শালপাতায়। আমি চাটাইএর এককোণে ছেড়ে দিলাম রোগা শরীর। ডিবরির আলো কমে এসেছে এখন। মা হাতের কৌশলে উসকে দিল সলতেটা। কেরোসিন যদিও তলানিতে। একসময় দপ করে নিভে গেল সে আলো। আঁধারে মিশে গেল মায়ের শরীর।  -মা কোথায়, কোথায় মা?