পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার যাপনের দিনলিপি- দুই।।ক্যাচলার নাম ছাগল পাঘা

ছবি
ক্যাচলার নাম ছাগল পাঘা অমিত মাহাত  কনদিগের লে ঘরকে আলি। মালুম নাই। দমতক ভোখ পাইয়েছিল। আস্যেই সিনান নাহান তোর চুলহায় পুড়ুক,আদকাবরা পা রাখে  নেগা হাতে সাবান নিয়ে যা ডাহিনা হাতটাই  জলটা নিয়েছি। পাড়ায় হুরি উঠল। দু গাবল মুখে পুরেছি। তিন গাবলকে ফুরাবেক। ফৈটকা দিল হাঁকায় - এ বঅ লেখইয়া কাকা! চাঁড়ে আসো, আয়।  আমি শুধালি - ক্যানে রে? কি হইল! -মাঝকুলহিএ বেপক সিন চৈলছে বঅ । লিখবে তো চল্যে আসঅ!  -থাম রে, আর এক গাবল!  ফৈটকা দৌড় মারল। আর আমিও রঁদ বাদাড় ডেঁইঘে মাইনকা'র বাঁশ ঝাড়ে যাঁইয়ে রোগা রুঠুইনা ভুলির সাথে যাকে বলে বজড়। সেইরকম।হামদের পাড়ার লে নামোপাড়া মাঝকুলহি কমটা লয়।  যাচ্ছি, কলমের কাজ করি তো। যা'ই ঘটুক। এক কলম লেখার মসলা হবেই হবে। তাই আর কি, সঁকড়ি হাতে ঘামাঘামি দুশো মিটার দউড়।  কি কান্ড!  ই যে হামার পুটি ঝিএর গলা। দরমুখা বাখানে মুইক্তার শাউড়ির কামান খাবেক নকি রে!  -বলি হেঁ লো, আঁটকুড়ি! আজও তোর রোগনা ছাগলটা ছাড়্যে দিয়েঁছিস? তর ভাতার এতই নিকম্মা!  একটা বরহই অ নাই আর সুতলি অ নাই। নাই তো নাই। একটা পুঁয়াল দড়িও জুটল নাই ! -আজই পুচকিছে দিদি ।বাঁধায় ত ছিল এদ্দিন।  -বাঁধা থাকলে আমার বাঁধনামোর পাকব

চল হে দুখিয়া

ছবি
 দুখিয়ার কান কি যেন শোনার জন্য খাড়া হয়ে উঠল , তখনই দেখল একজোড়া ছেঁড়া চটি যার একটি পা পুবের দিকে। অন্যটা উত্তরের ডুংরির  অভিমুখে। আশ্চর্য!  কাছে কোথাও মানুষের চিহ্নমাত্র নেই। অথচ মাটিতে লুটোচ্ছে চটিজোড়া। চটির মানুষটি বেমালুম হাওয়া। এ হাওয়া হওয়ায় বটে।  দুখিয়া আচ্ছা ফ্যাসাদে  পড়ে। এই চটি কার হতে পারে। কার পায়ে দেখেছিল এটি। যদিও মাথা ঘামানোর সময় নয় এখন। আগে তো মাথা বাঁচাও। তখনই ভেসে এল সেই হাসি । টিলার ওপার থেকে। দুখিয়া প্রায় পিছিয়ে দৌড় দেবে ভাবছিল। এই মাঝ জঙ্গলে জনপ্রাণী নেই  ।হাসি আসে কোত্থেকে! বন বাবাজি'র খপ্পরে শেষে জান মান যায় আর কি। সন্নিসি বাবার কান্ড হলে আর রক্কে নেই। বিকেল ফুরুৎ করে উড়ে গেল পশ্চিমি মগ দিশমে। -কি বে দুখে! ভয় পে গেলি নাকি?   দুখিয়া দেখল মংলু বেরিয়ে আসছে টিলার ওপার  থেকে । চটিজোড়া তবে মংলুর! সন্নিসির হলে এতক্ষণ মুতে ফেলত না দুখিয়া! ধড়ে প্রাণ ফিরল যেন। দুখিয়াকে দেখে মংলু বলে -ইবার আর চিন্তা নাই। হাতখালি তো পাতখালি। প্যাটখালি তো হাঁটো বদ্দমান হুগলি। দুখিয়া রা বছরে দু'বার আসে হুগলি।  নামাল দেশে। একবার গরমের সময়  ধান কাটার মরশুমে।থাকে মাসখান। ধানকাটা